জ্বালানির মূল্য পরিশোধের চাপ মাথায় নিয়ে দিন শুরু করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) মিলনায়তনে জ্বালানি বিষয়ক সেমিনারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আমার প্রতিদিন শুরু হয় জ্বালানির মূল্য পরিশোধের চাপ মাথায় নিয়ে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানিকারী ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপ সবসময় আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেয়।

উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ খাতে ৩২ হাজার কোটি টাকা ও জ্বালানি খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ৬ মাসে ৫৬ হাজার কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। আওয়ামী লীগের সময়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনা হয়েছে। এই দাম কতদিন টানা যাবে তা নিশ্চিত নয়।

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর খুব চাপ রয়েছে জানিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ৭২ টাকায় গ্যাস কিনে ৩০ টাকায় কতদিন দিতে পারবে সরকার? কত দিন দাম না বাড়িয়ে থাকতে পারব বলতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, গ্যাসের মূল সংকট হচ্ছে যোগান ও চাহদায়। একদিকে গ্রাহক গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কমানোর চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে আরেকটি পক্ষ দাম বাড়ানোর কথা বলছে। শুধুমাত্র বাড়তি ব্যবহারকারীদের জন্যই গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে স্বাভাবিক গ্রাহকদের বাড়তি টাকা দিতে হবে না।

গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লুটপাটকারীদের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা দরকার বলে মনে করেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। জ্বালানি খাতের প্রকল্পে সবকিছু উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে করা সব চুক্তি পুনরায় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে জ্বালানিখাতের লুটপাটকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলমও। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের কোনো পিছুটান নেই। গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগে এখাতের অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/এসকে